সবুজবাংলা২৪ডটকম, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে রাতের আঁধারে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় হাফেজ নামজুল হুদা গাজী নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক, সাবেক সেনা সদস্য নান্না গাজী এবং নাঈম গাজী ও ছাব্বির নামে দুই কলেজ ছাত্রসহ ওই এলাকার দশ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। হাফেজ নাজমুল হুদা গাজী ছোট শৌলা ইলমুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক। এদিকে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে ছোট শৌলা ইলমুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এসময় মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ছোট শৌলা ইলমুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ আরিফুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ ইয়াছিন আরাফাত, সমাজসেবক মোঃ আঃ রাজ্জাক, সোহরাব গাজী, ছাত্র অভিভাবক নাছির হাওলাদার ও শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ইফতি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৮ আগস্ট রাতে কে বা কারা ছোট শৌলা গ্রামের মৃত মকবুল আলী হাওলাদারের পুত্র আবুল হোসেনের ওপর হামলা চালায়। এঘটনায় ৩০ আগস্ট মঠবাড়িয়া থানার এস আই কে এম খালেকুজ্জামান বাদী মাদ্রাসা শিক্ষক নাজমুল হুদা গাজী, সাবেক সেবা সদস্য নান্না গাজী ও দুই কলেজ ছাত্র নাঈম গাজী এবং ছাব্বিরসহ এজাহার নামীয় দশ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার এস আই কে এম খালেকুজ্জামান জানান, ভিকটিমের নিকট আত্মীয় না থাকায় এবং ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় থানার অফিসার ইনচার্জ ভিকটিমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তার দেয়া ভাষ্য অনুযায়ি বিবাদীদের নামে এজাহার দাখিল করিতে বলিলে রাষ্ট্র পক্ষের হইয়া ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা করি।