সবুজবাংলা২৪ডটকম, নায়াখালী : মৃত ব্যক্তির দাফনে গিয়ে চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে লক্ষ¥ীপুর জেলার কমল নগর উপজেলার চরবসু গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের অচেতন সাত সদস্যকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিরা হলেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আসিব (২২), আবু জাকেরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৭০), চর কাউনিয়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে আমিন উল্লা (৬০), লক্ষীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইলের ছেলে দিদার হোসেন (৩২), তার মেয়ে পলি আক্তার (১৭), মোদাব্বের হোসেনের স্ত্রী শামছুর নাহার (২১) ও নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী তানহা বেগম (২৫)। ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা জানান, নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবু জাকেরের পরিবারের সদস্যরা সোমবার দুপুরে লক্ষীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দাফন কাজে যোগ দিতে যান। দাফন শেষে পাশে অপর এক আত্মীয় ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে উঠেন। সেখেন অপরিচিত এক নারী মোবাইলে ফোনে চার্জ দেওয়ার কথা বলে ওই বাড়িতে যায়। এর পর বাড়ির সবাই খাবার খেয়ে একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে নগদ টকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইসতিয়াক জানান, অচেতন অবস্থায় ভর্তি রোগীদের অবস্থা উন্নতির দিকে। তাদেরকে খাবারের সাথে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা তাদের। এ ব্যপারে নোয়াখালী সদর সারেকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরতাহিন বিল্লাহ জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের কয়েকজন লোক লক্ষীপুরের কমল নগর উপজেলার চরবসু গ্রামে এক বাড়িতে অচেতন হয়ে পড়ার পর আজ ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খবর পায় পুলিশ। এরপর সুধারাম মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের সাথে দেখা করে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।