সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের আতংকে এলাকার এক লাখ মানুষ। দাকোপ উপজেলার কালাবগী চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার সদ্য নির্মাণাধিন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তা সহ স্হানীয় মুদি দোকান ঔষধের দোকান বারীঘর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে জায়। নদী ভাঙ্গনের খবর পাওয়া সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা গন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী। উপজেলা আঃলীগ সভাপতি গন মানুষের নেতা আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের সমার্থক গোস্টি সহ জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্মী বৃদ্ধ। ঘটনা স্হল পরির্দন করেন আর সকলেই আশ্বস্তের বানিশুনাতে থাকেন। এভাবেই ঘটেছিল আইলা নামের ভয়াবহ দূর্ঘটনা ২০০৯ সালে ঘটেছিল। এই সেই আইলা দূর্গত সুতার খালি ইউনিয়নের কালাবগী গ্রামের নাম। পৃথিবীর জন্মথেকে চলে আসছে ভয়াবহ নদী ভাংগন তার প্রতিরোধ হয়নি। হয়েছে পরিদর্শন শত শত বাড়ি ঘর আজও অনেকেই পূর্বের তুলনা সঠিক ভাবে গড়ে তোলা হয়নি তাদের বসতি স্হাপনা। দুঃখ প্রকাশ করার স্হান ভাসা খুঁজে পাওয়ার কিছু নাই। এতখতি দকোপ উপজেলায় আর কোন দিন হয়নি। ভাংগনের রেস শেষে হতে না হতেই ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের আতংকে এক লাখ মানুষ তারা ভাবছেন। কখন কিভাবে কি জানি হয়ে জায়। দাকোপ উপজেলার মানুষের নিরাপত্তা নাই। সর্বক্খন রয়েছে। আতংকে নদী ভাংগন প্রতিরোধের ব্যবস্হা না করলে অচিরেই আইলার রুপ নিতে পারে। তাই আর দেরি না করে অতি দ্রুত নদী ভাংগন প্রতিরোধের ব্যবস্হা করুন। এলাকার মানুষ আতংকের মধ্যো দিয়ে দিনাতিপাত করছে ওদের কে বাচাও। ওরা বাচতে চায় শুধু পরিদর্শন করলাম ছবি পাঠালাম কতৃপক্ষের অনুমতি চাই লাম। এইসব ঝামেলা পোহানোর সময় নাই এলাকার মানুষের একমাত্র। আস্তা আশা ভরসা দেশের প্রধানমন্ত্রী জন নেএী। শেখ হাসিনার একান্ত সহায়তা ছাড়া সুতার খালি নদী ভাংগন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নাই।
দাকোপে ভাঙন প্রতিরোধের দাবীতে মানববন্ধন
দাকোপের কালাবগী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় কালাবগী মডেল বাজারের নদী ভাঙন এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুতারখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন। বক্তৃতা করেন ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী ঢালী, নিমাই মন্ডল, মহসিন শেখ, জাহিদ হাসান ফকির, আজগর হোসেন ছাব্বির, আঃ মজিদ গাজী, জাহিদুর রহমান মিল্টন, ফাতেমা খাতুন, নুর বক্কার গাজী, শেখ রফিকুল ইসলাম, জোবায়দুর রহমান বুলবুল, আশরাফ ঢালী, নাসির গাজী, মিজানুর রহমান, আবুল হোসেন খান, আঃ গফুর সানা, খালেক সানা, আবুল হোসেন কবিরাজ, ইয়াসিন গাজী, ফারুক গাজী, ইউসুফ আলী ঢালী, আঃ বারিক মোড়ল, কওসার সানা, সারাফাত হোসেন সবুজ, আমিনুর সানা, সোলাইমান শেখ, মোহন্ত রায়, বদিয়ার শেখ, দিলু শেখ, রাজ্জাক শেখ, ডালিম গাজী, মারুফ গাজী, সাইদ শেখ, কামরুল গাজী, জহুর সরদার, আফসার শেখ, মনি সানা, সুরোত গাজী, অরুন রায় প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা নিজেদের ভিটে মাটি রক্ষায় স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধে নদী শাসন করে ব্লক ড্যাম্পিংয়ের দাবী জানান। উল্লেখ্য সম্প্রতি দাকোপের কালাবগী মডেল বাজার এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙনে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১টি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সেখানকার সুন্দরবন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, পানির প্লান্ট, বসত বাড়ীসহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।