• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন ফের আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত নওগাঁয় শিক্ষা সেবিকাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ফিলিস্তিনের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত লক্কর-ঝক্কর বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান মন্ত্রী স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে জেএমসি মিডিয়া বাজের পঞ্চম আসর পলাশবাড়িতে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের বেড়েছে ব্যস্ততা

নরসিংদীর রায়পুরায় চালক হত্যা মামলায় ৩ আসামীর যাবজ্জীবন ও নারীর ৬ মাসের কারাদন্ড

মোঃ আল আমিন : / ৩১ Time View
Update : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

সবুজবাংলা২৪ডটকম, নরসিংদী : নরসিংদীর রায়পুরায় বিজয় মিয়া নামের এক চালক হত্যা করে বিভাটেক ছিনতাইয়ের মামলায় তিন আসামীর যাবজ্জীবন ও এক নারীকে ৬ মাসের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদ- অনাদায়ে আরও ৬মাসের কারাদ- দেয়া হয়। এছাড়া এক নারীকে ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
গত রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (তৃতীয় আদালত) আ.ন.ম ইলিয়াস আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দ-প্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদী সদর থানার বিলাসদী মহল্লার মো: সোলায়মান মিয়ার ছেলে আলাল মিয়া ওরফে বিল্লাল (৩৫), রায়পুরা থানার বীরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (২৮), রায়পুরার বল্লভপুর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে মো: রুবেল মিয়া (৩১) ও রায়পুরা থানার বীরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৪৫)
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার চালক বিজয় মিয়া জীবিকার তাগিদে তার বিভাটেক নিয়ে বের হন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা যাত্রীবেশে বিজয় মিয়ার বিভাটেক ভাড়া করে। পরে বিজয় মিয়াকে প্রথমে রায়পুরার নিলক্ষা পরে একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগরে নিয়ে যায়। সেখানে কৌশলে চালক বিজয় মিয়াকে হত্যা করে লাশগুম করে বিভাটেকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন লাশ পাওয়ার পর পরিচয় শনাক্ত করে নিহত বিজয়ের মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। আসামীরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন।
আদালত ১৫ বিচারিক কার্য দিবসে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন আসামীর যাবজ্জীবন ও একই সাথে তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদ- অনাদায়ে আরও ৬মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এছাড়া ছিনতাই করা বিভাটেক সংরক্ষণ করার দায়ে অভিযোগে এক নারীকে ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়।
দ্রুত সময়ে এমন চাঞ্চল্যকর হত্যার রায় প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম।

নরসিংদী জেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) শিবপুর উপজেলার শেরপুর আবেদ ভিলেজে (বাগান বাড়ি) এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এছাড়া ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল বাছেদ ভূইয়া, যুগ্ম আহবায়ক ভিপি আব্দুল জলিল, এ কে এম গোলাম কবির কামাল, ফারুক উদ্দিন ভূঞা, আমিনুল হক বাচ্চু, আবু ছালেক রিকাবদার, জেলা যুবদলের আহবায়ক মুহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ, নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ইলিয়াছ আলী ভূঞাসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাধবদীতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা
নরসিংদীর মাধবদীতে গলায় ফাঁস দিয়ে মোশারফ হোসেন (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ মার্চ শনিবার রাতে মাধবদী থানার দড়িকান্দী পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোশারফ ওই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। গত ২৪ মার্চ রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে মাধবদী থানা পুলিশ।
পরিবারের দাবী একই এলাকার শাহ আলম, রুবেল ও কাউসার নিহত মোশারফ কে মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টায় মোশারফ এর স্ত্রীর সামনে থেকে শাহ আলম ডেকে নিতে আসে, এসময় মোশারফ যেতে না চাইলে শাহ আলম তাকে জোর করে কলার ধরে টেনে নিয়ে যায়। তারপর থেকে মোশারফ সারারাত বাসায় না ফেরায় খুজা খুজি করে না পেয়ে পুরাতন ঘরে খুজ করে দেখতে পাই ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। মোশারফ এর পা দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। মোশারফ এর স্ত্রী জানায়, আমার দু বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামীকে শাহ আলম, রুবেল ও কাউসার মেরেছে। তাকে মেরে লাশ ঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। যারা আমার অবুঝ সন্তানকে এতিম করেছে এবং আমাকে বিধবা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং ন্যায় বিচার দাবী করছি।

বিজ্ঞাপন

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories