• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যে মূখ, অসহায় মানুষের শীতবস্ত্র জরুরী

মোস্তাফিজুর রহমান: / ১৩৭ Time View
Update : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪

সবুজবাংলা২৪ডটকম, কুড়িগ্রাম : গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে আবৃত কুড়িগ্রামের সর্বস্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকগণ জীবীকার সন্ধানে তীব্র ঠান্ডা পানিতে মাঠে কাজকর্ম করতে নিদারুণ কষ্টে পরিবারের আহার জোগাড় করতে কাজ করছেন। তাদের অধিকাংশ পরিবারের অবস্থা খুবই নাজুক। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতল হাওয়া বা শীত নিবারণের পোশাক।
পৌষের শেষে এসে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপটে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত নানা রোগ বালাই। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। বুধবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১১ক্ক ডিগ্রী সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ০৯ জানুয়ারি সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী এবং সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সূর্যাস্তের সাথে সাথে ঘটন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় রাস্তা ও মাঠঘাট। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না সকল শ্রেণী পেশার মানুষজন।
এদিকে, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না। বামনাছড়া সোনারীপাড়া এলাকার কৃষি শ্রমিক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং নুর নবী ও তাইজুল ইসলাম বলেন, আজ ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাসে কাবু করে ফেলছে। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে হাজারো কৃষক কৃষাণী। ফলে মাঠ পর্যায়ে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে কৃষি কাজকর্ম, এ অবস্থায় পিছিয়ে যাচ্ছে চলতি মৌসুমের ইরিগেশন। আলু বেগুন এবং অন্যান্য তরীতরকারী ক্ষেত পরিচর্যায় হিমসিম খাচ্ছে আবাদীগণ।
ওদিকে, মৎস্য জীবীগণ পড়েছে চরম বেকায়দায়। পরিবার পরিজন নিয়ে আছেন মারাত্মক উৎকণ্ঠায়
অপরদিকে, গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে রীতি মতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কুড়িগ্রামের খামারী ও গ্রামের মানুষজন।
ভিন্ন দিকে, বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন সংস্থার চাপে চাকুরী বাঁচানোর তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে, কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য বাড়ী বাড়ী গিয়ে ধরনা দিচ্ছে বলে জানা গেছে এনজিও-র অনেক মাঠ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই রকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories