সবুজবাংলা২৪ডটকম, চাঁদপুর : চাঁদপুর পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে ৪ শতাধিক পরিবার। খাল ভরাট করে অপরিকল্পিত জনবসতি গড়ে তোলায় টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। ওয়ার্ডের মধ্য গুনরাজদী আঃ কাদের পাটওয়ারী সরকস্থ ভুইয়া বাড়ি সংলগ্ন খলিফা বাড়ি রাস্তায় কোমলমতি শিশুদের ভেজা পোশাকে স্কুলে যেতে দেখা যায়।
এসময় তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, তাদের অনেকের ঘরেই হাটু সমান পানি, ঘরের চুলা বন্ধ, উঠানে অনেক পানি থাকায় তারা বেশির ভাগই না খেয়ে ভেজা পোশাকে স্কুলে যেতে হয়। পরে ঐরাস্তার প্রায় কোমর সমান পানি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় একি বাড়িতে ২ শতাধিক পরিবার পানির নিছে। তারা জানায় নদীর পাড়ে অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মানের কারনে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বছরের প্রায় ৪ মাস তাদের পানির উপর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এছাড়াও চাঁদপুর ৫০ মেঃ ওঃ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যাুৎ কেন্দ্রের ভেতর থেকে বৃষ্টির পানির স্রোত নামে এখান দিয়ে। বেশির ভাগ পরিবারে চুলা পানির নিচে থাকায় আগুন তাদের সন্তানদের খাবার জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে। যে কারণে তাদের বেশির ভাগ-ই না খেয়ে পানিতে ভেজা শরীর নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। তারা আরো যানায় সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম পাটওয়ারী তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিহত এলাকাজুড়ে মোটা পানির পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করেছিলেন। এতে করে বেশ কয়েক বছর তারা ভালো ছিলেন। পরবর্তী কাউন্সিলর এলাকার খোঁজখবর না রাখায় ক্ষমতাবানরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই পাইপ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পাইপের মুখ দখল করে ভরাট করে ফেলে। এতে করে পুনরায় এ এলাকায় আমরা পানিবন্দি হয়ে পরি।
এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম পাটওয়ারীর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন জনগণ আমাকে ভালোবাসে, যে কারণে আমি ক্ষমতাশালীদের রক্তচক্ষুতে পরিনত হই। কাউন্সিলর থাকাবস্থায় একের পর এক হুমকি পেয়েও নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর-ই ওদের বেয়াদবি আচরণ ও পক্ষপাতী প্রশাসনিক ব্যাবস্থা দেখে আমি আমার লোকজন নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে চলে আসি। এর পর থেকে আমি ওদের সাথে দ-ে না নিজে সাধ্যমত এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করে আসছি।