• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম :

ঢাকা মেডিকেলে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর পাশে ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : / ৬ Time View
Update : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিকে সজাগ সচেতন থাকতে হবে। যারা দাবী দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছেন, তারা এতো দিন কোথায় ছিলেন? সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য্য ধরেছেন, আরো কিছুটা সময় ধৈর্য্য ধারন করুন। তাদের গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, এধরনের কার্যক্রম জনগন মেনে নিবে না। এ ধরনের দু:সাহস আবারো দেখালে জনগন ক্ষমা করবে না। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কোনো ষড়যন্ত্রে পা না দেন।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার রাতে আনসারদের বিক্ষোভের সময় গুরুতর আহত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিংকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় ব্রিফ্রিং এ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দু সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে কিছু উৎশৃংখল আনসার সদস্য গায়ের জোরে ঢুকে পড়েছিল। যারা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিল, সেই ছাত্ররা এসেছিল, তাদের কথা শুনার জন্য, শান্ত করার জন্য। কিন্তু তারা সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে ছাত্রদের উপর আঘাত করে। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হয়। আমি আশা করছি, আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ্যতার নেয়ামত দান করবেন।
তিনি বলেন, একটা গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এজন্য গোটা জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। দাবী দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাত্রইতো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এতোদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এতো দিন দাবী জানান নি কেন? তারা জনগনের অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তাদের কাজ করার সুযোগ দিন। তাদের এভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখলে কাজ করবে কী করে? তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য্য ধরেছেন, আরো কিছুটা সময় ধৈর্য্য ধারন করুন। তাদের গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, এধরনের কার্যক্রম জনগন মেনে নিবে না। এ ধরনের দুঃসাসহ আবারো দেখালে জনগন ক্ষমা করবে না। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কোন ষড়যন্ত্রে পা না দেন।
প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা দায়িত্বপূর্ণ ভাষণ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এতে জাতির আশা আকাঙখা পূরণ হবে। দেশবাসীর আশা পূরণ হবে।

মাগুরার শহীদ পরিবারের সাথে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গত রবিবার বিকাল ৪টায় মাগুরা জেলা জামায়াত আয়োজিত স্থানীয় সার্কিট হাউজ হল রুমে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মাগুরা জেলা নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা লিয়াকত আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা সারা বাংলাদেশের প্রায় ১০০০ স্বজনের সাথে কথা বলেছি তাদের মনের ব্যাথা, বেদনার কথা শুনেছি। আমরা তাদের স্বজন হারানোর কষ্ট কোনোভাবেই দূর করতে পারব না। তবে আমরা তাদের দুঃখ-কষ্টের সামান্য ভাগীদার তো হতে পারি। আমাদের সাধ্যমত সেই চেষ্টাটাই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সারা জীবন যেন তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে পারি, মহান রবের নিকট আমরা সেই সুযোগটুকু চাই।
আপনাদের শহীদ সন্তানদের জন্য আজ সারাদেশ আপনাদের স্মরণ করছে। আল্লাহ আপনাদের মান সম্মান ও ইজ্জত বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখন থেকে সব সময় আপনাদের পরিবারের পাশে থাকবে, সহযোগিতা করবে, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য আমরা আপনাদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিশেষ অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৫টি বছর শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের হাজারো নেতা-কর্মীরা অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজ আমরা ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের বদৌলতে শান্তি-স্বস্তির পরিবেশ পেয়েছি। আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনে আবু সাঈদ-মুগ্ধ-রা বুক চেতিয়ে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছে। তাই তাদেরকে আমাদের যথাযথভাবে সম্মান দিতে হবে ও স্মরণ করতে হবে। আহতদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পঙ্গুত্ববরণকারীদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন করতে হবে। শহীদদের পরিবারগুলো আজ অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো দেশের ১৭ কোটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আজ আমরা মাগুরাতে এসেছি। আমরা সারাদেশের প্রতিটি শহীদ পরিবারের নিকট যাওয়ার চেষ্টা করছি, তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। মহান রবের অশেষ মেহেরবানীতে তাদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত এখনো অব্যাহত রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।”

বাড্ডায় জামায়াতের উলামা সম্মেলনে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
আলেম-উলামাগণ জাতির জাগ্রত বিবেক-দুঃসময়ের কান্ডারী, নবীগণের উত্তরসূরি; তাই দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে আলেম সমাজকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা-বাড্ডা ও হাতিরঝিল জোন আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে আলেম-উলামাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মাওলানা আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের সহ-সভাপতি মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ ন ম রশীদ আহমাদ মাদানী, মোহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম মঈন উদ্দিন সিরাজী, বিশিষ্ট ওয়ায়েজিন মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমদ, জমজম মসজিদের খতিব মাওলানা নাসির উদ্দীন হেলালী, বিশিষ্ট মুফাসসির মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, বিশিষ্ট দাঈ ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা জহিরুল ইসলাম জাবেরি, বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন ও ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্লাহ ও মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য কুতুবউদ্দিন, ফজলে আহমেদ ফজলু, এড. জিল্লুর রহমান ও ইউসুফ আলী মোল্লা প্রমূখ।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশে যখন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার সুযোগ ছিল না, আলেম সমাজকে তখনও থামানো সম্ভব হয়নি।
তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়াজ ও তাফসির মাহফিলের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান আদর্শ, সরকারের অগণতান্ত্রিক এবং স্বৈরাচারি শাসনের সমালোচনা করে দেশ ও জাতিকে আত্মসচেতন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গেছেন। যা জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাই দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে জাতির জাগ্রত বিবেক আলেম সমাজকে প্রতিটি ঘরে ঘরে কুরআন ও হাদিস শিক্ষার কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। জনমত গড়ে তুলতে হবে সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন, অন্যায়- অনাচার, চাঁদাবাজী এবং অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। জাতির ঘাড়ে আবারো অপশাসন- দুঃশাসন চাপিয়ে না বসে সেদিকেও তাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার। মূলত, ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধই মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির সোপান। রাসূল (সা.) মদীনার সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি উপস্থিত আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজেদেরকে দুর্বল মনে করবেন না। আলেমদের হাত খুবই মজবুজ ও শক্তিশালী। এদেশে ঈমাম ও মুয়াজ্জিনরা খুবই সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদের খতিবরা বরাবরই ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে এসেছেন। যা স্বৈরাচারের ভিতকে কাঁপিয়ে দিতে সহায়ক হয়েছে। আগামী দিনেও তারা জাতিকে পথ দেখানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন-ইনশাআল্লাহ। আর ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচারের জন্য আলেমদেরকে নিয়মিত দাওয়াতি সভা ও পারিবারিক বৈঠক অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিবেশী সহ পরিচিত জনদের টার্গেট করে চালাতে হবে বিশেষ কর্মসূচি। আর এভাবে ইসলামী বিপ্লবের পথ সহজ থেকে সহজতর হবে। তিনি সেই শান্তির সমাজ বিনির্মাণে আলেম সমাজকে সব সময় অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category