সবুজবাংলা২৪ডটকম, নওগাঁ : নওগাঁর সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের কফিল উদ্দিন খাঁন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে স্কুলে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাতাহাতি করেছেন শিক্ষক এনামুল হক। বিদ্যালয় ছুটির পর ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। ঘটনাটির বিষয়ে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের জানালে তারা আজ এসে বিদ্যালয় ঘেরাও করে।
এসময় ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে না থাকায় অন্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) ইতি আরা পারভীনসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম বিদ্যালয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক এনামুল হকের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) ইতি আরা পারভীন বলেন, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ওই বিদ্যালয়ের গিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন প্রধান শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা এবং ভাই থানায় রয়েছে। এবং অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে বলে জানান।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, শিক্ষকের হাতে ছাত্রীর শ্রীলতা হানির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।