• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম :

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৬, সেনাবাহিনী-পুলিশি টহল জোরদার

মাসুম ফরাজি : / ১০ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪
oplus_2

সবুজবাংলা২৪ডটকম, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা বাজার লুটপাট ও ইজারা নিয়ন্ত্রণেকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে দুই ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে সাড়ে ৯ টা থেকে সাপলেজা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হন। আহতরা হলেন- ওয়ার্ড যুবদল সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহিন (৩৮), মো. শামীম হোসেন গাজী (৩৫), বিএনপি কর্মি মাসুম শরীফ (৩৭), ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন (৪২), যুবদল সদস্য শাহীন শরীফ (৪০), ছাত্রদল কর্মি ইরান (১৭)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নেন। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা ও ওয়ার্ড যুবদল সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহিন জানান, আমারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি। লুটপাট, হানাহানি ও গ্রুপিং পছন্দ করি না। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. রুহুল আমীন দুলালের অনুশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান, যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাস্টার,ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন আলমগীরসহ তাদের ৫০/৬০ জনের একটি দল সাপলেজায় ব্যপক তান্ডব, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। বিষটি উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. রুহুল আমীন দুলালকে অবহিত করলে তিনি কোন কর্ণপাত করেনি। অপরদিকে গত অর্থ বছরের বাজার ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় গত জানুয়ারী মাসে সরকারি খাসমহলের আওতায় ইজারা চলে যায়। যা ওই গ্রুপটি লোক দিয়ে বাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রণ করেন। তান্ডব, ভাংচুর ও লুটপাট এবং বাজার ইজারা রাস্ট্রীয় অর্থ তসরুপ হচ্ছে ভেবে বিষটি সেনাবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাউয়ূম সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং ইউনিয়ন তহসিলদার শ্যামল চন্দ্রকে দায়িত্ব দেন।
তহসিলদার শ্যামল চন্দ্র ১৭ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বিষটি ফয়সালার জন্য বসলে হট্টগোলের কারনে কোন সুরহা হয়নি। শনিবার সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান ও তার লোকজন ইজারা আদায়ের চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দেই। এতে আমাকে ধাওয়া করে আমার ঘরে অবরুদ্ধ রাখে এসময় যুবদলের ও ছাত্র দলের ৩ জন সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান বলেন, বিগত দিনগুলোতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়ার পক্ষ নিয়ে বেশ কয়েক বছর তান্ডব চালায়। বর্তমানে এ বিষয়টি নিয়ে কথার কাটাকাটিতে আমাদের লোকজনের ওপর তারা হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. রুহুল আমিন দুলাল এর মুঠোফোনে একাধিক কল করলো তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ রেজাউল করিম রাজিব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিন্থিতি শান্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঠবাড়িয়ায় বসতঘর ভাংচুর সহ প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ
বাংলাদেশ নতুন ভাবে স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার সাধ গ্রাহন করতে পারেনি লুতফার রহমান ৬ই আগস্ট বসতঘর থেকে বৈদ্যুতিক মিটার খুলে মালামাল লুটপাট করে বসতঘর ভাংচুর করে আগুন দেয়া সহ বাড়ির গাছপালা কর্তন করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা ।
ঘটনাটি ঘটেছে ৬ আগস্ট মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ধানীসাফা গ্রামের লুৎফর রহমান হাওলাদারের বাড়িতে। ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান হাওলাদার ধানীসাফা গ্রামের মৃত খোরসেদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান,বসত ঘরে থাকা নগদ ৫লাখ টাকা,৬ বড়ি স্বর্নলংকার যার বাজার মূল্য ৭লাখ২০হাজার টাকা এবং বাড়ির বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে নিয়ে যায়, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০হাজার টাকা সহ ঘর ও ঘরে থাকা থাকা মালামাল ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যায় এতে প্রায় ২২,০০,০০০/- টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
লুতফার রহমান জানান, আমি ও আমার ভাই শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দল রশিদ হাওলাদার তার মেয়ে রেকসোনা আক্তার রাণীর সকল সম্পত্তি আমার ত্বতবধনে সন্ত্রাসীর আমার ও রেকসোনা আক্তার রাণীর ভোগ দখলীয় ওয়ারিশ সূত্রে ও দলিল ও রেকার্ড মূলে ক্রয় কৃত সহায় সম্পত্তি জোর পূর্বক জবর দখল করে ঘরে আগুন মারপিট ও লুটপাঠ করে সকল কিছু নিয়ে যায়। যাহার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬আগস্ট দুপর ১২টার দিকে হঠাৎ এমাদুল ও একদল সন্ত্রাসী সংগে নিয়া আমাদের জীবনের তরে শেষ করিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘরে আগুন সহ সকল কিছু ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ সময় আমি বাধা দিলে সন্ত্রাসীর আমাকে মারাত্বাক জখম করে। সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে প্রতিবাদ করিলে আমাদের উপর মারাত্মক ভাবে ক্ষিপ্ত হয় এবং হুমকি প্রদর্শন করে
এব্যাপারে মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্প বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category