• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুরে ৩ শহীদের কবর জিয়াারত এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করলেন ড. মুহা. রেজাউল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক : / ১৩ Time View
Update : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : আওয়ামী স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের যুগপৎ হামলায় লক্ষ্মীপুরে শাহাদাত বরণকারী ৩ শহীদ যথাক্রমে শহীদ কাউসার হোসেন বিজয়, শহীদ আফনান ও শহীদ মো. হিরণের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন এবং একান্তে কথা বলেন। মহানগরী সেক্রেটারি তাদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করে। তিনি নিহতদের শাহাদাত কবুলিয়তের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করে। লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়। এ সময় মহানগরী সেক্রেটারির সাথে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এ আর হাফিজ উল্লাহ, পৌরসভা সেক্রেটারি মোঃ জহিরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর শহর শিবির সভাপতি আরমান পাটোয়ারী এবং সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন, ৯ নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন জামায়াত আমীর আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং সেক্রেটারি জাহিদ হোসেন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তিনি উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে আওয়ামী-বাকশালী ও ফ্যাসীবাদীরা জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেয়ে বসেছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন ও প্রতিরোধের মুখে মাফিয়াতন্ত্রীরা ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এমধ্যেই ঝড়ে গেছে আমাদের শত শত সন্তানদের তরতাজা প্রাণ। যা ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম যে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তা আর কথার কথা নয় বরং তারা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন জাতির যেকোন প্রয়োজনে ও ক্রান্তিকালে তারা সবসময় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। তারা হাসিমুখে শাহাদাত বরণ করে আমাদেরকে শিখিয়ে গেলেন অন্যায় ও অসত্য কখনো চিরস্থায়ি হয় না বরং জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে যেকোন অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। কিন্তু ছাত্র-জনতার এই বিজয়ে কালিমা লেপন করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। থেমে নেই দেশ বিরোধী ফ্যাসীবাদ এবং আধিপত্যবাদী অপশক্তি। তাই গৌরবের বিজয়কে অক্ষুন্ন রাখার জন্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে জাতিকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদীরা আবারো মাথাচাঁরা দিয়ে উঠতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category