সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : নয়াদিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন নিশ্চিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়
দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, একেবারে আন্দোলনের শুরু থেকে বিক্ষোভকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারের আলোচনা করা এবং কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল। বুধবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন জয়।
শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কোটা কমানোর বিষয়ে আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিল। আদালত ভুল করেছে এবং আমরা কোটা চাই না বলে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থাই বিষয়টি সামলাবে বলে প্রত্যাশা করেছিল।’’
বিক্ষোভ মোকাবিলায় সরকারের ভুল স্বীকার করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন এই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল।
‘‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারী আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত ছিল। গত ১৫ বছরে আমাদের জঙ্গিবাদের সফল নিয়ন্ত্রণের কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। কেবল একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই দেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করতে পারে।’’
৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে তার মায়ের চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জয় বলেন, এমনকি পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তা একদিন আগেও তিনি বা তার মা কেউই ভাবেননি।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘তার (শেখ হাসিনা) দেশ ছাড়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি বিবৃতিটির খসড়া তৈরি করছিলেন এবং সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবকিছু পরিকল্পিত ছিল। তিনি রেকর্ডিং শুরু করতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ‘‘ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখনই যেতে হবে।’’