• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম :

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক খতিয়ে দেখতে হবে : জামায়াত আমীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : / ১০ Time View
Update : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : অন্তর্বরতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতের ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি, বরং দলের পক্ষ থেকে দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার ও জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন নেতারা।
বৈঠক শেষে দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে, নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
তিনি বলেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক কারণে হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। ধর্মীয় কারণে হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক কারণেও হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কি না, এ প্রসঙ্গে আমির বলেন, এ নিয়ে কথা হয়নি। এখানে দলীয় কথা বলতে আসিনি। তবে কেউ নিষিদ্ধ করলেই আমরা নিষিদ্ধ হয়ে যাই না। তারা ভুল কাজ করেছে, যার মাশুল দেশবাসীকে দিতে হচ্ছে।
দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে দেশ সংস্কারে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সারা দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। বিগত সরকারের শাসনামলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং মন্ত্রী/এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সব দুর্নীতিবাজদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিগত সরকারের আমলে প্রমোশনবঞ্চিতদের দ্রুত প্রমোশন দেওয়া ও সম্মানজনক পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। জোরপূর্বক অবসরপ্রাপ্তদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। কোটা আন্দোলনের সমর্থনে আরব আমিরাতে বিক্ষোভকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে সম্মানজনক পুনর্বাসন করতে হবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতি সচল করার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির প্রশাসনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে যাবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম (সাবেক এমপি), সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি) ও অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ থেকে বৈঠক শুরু করেছেন। শুরুতেই বিএনপির সঙ্গে বসেন। এরপর জামায়াতের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সন্ধ্যায় ৬টায় যৌথভাবে এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বসেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category