সবুজবাংলা২৪ডটকম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার রায়তী নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আল আমিন (৯) নামের এক ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে আঁছাড় দিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষার্থীর বাবা নুরুন্নবী মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
এ ঘটনাটি নিরসনে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠান চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান,গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ও রায়তী নড়াইল গ্রামের ভ্যানচালক গোলাম কাদের মিয়ার ছেলে আল আমিনের সঙ্গে একই শ্রেণির নুসরাত খাতুনের খেলাধূলা করার সময় ঝামেলা হয়। বিষয়টি নুসরাত স্কুল সংলগ্ন বাড়ীতে এসে তার বাবাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুসরাতের বাবা নুরুন্নবী মিয়া বিকাল প্রায় ৪টার দিকে স্কুলে এসে আল আমিনকে টেনে হেঁচড়ে মারধর করে এবং গলা ধরে শূন্যে তুলে বারান্দায় পাকা মেঝেতে আঁছাড় দেয়। এতে ওই শিশুর ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে যায়। শিশুটির আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা আসার আগেই নুরুন্নবী মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে সৃষ্ট এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে আহত শিক্ষার্থীর পিতা গোলাম কাদের মিয়া বলেন,এ ঘটনাটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়। আমার ছেলেটির পায়ের অবস্থা খারাপের দিকে। এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
রায়তী নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম সরকার শামীম জানান,ওই ঘটনাটি নিরসনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে বসা হয়েছিলো। আর ওই বৈঠকে শত-শত নারী-পুরুষের সামনে অভিযুক্ত নুরুন্নবী তার ভুল স্বীকার করে করজোড়ে মাফ চাইলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন,ব্যাপারটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ঘটনাটি সুরাহা না হওয়ায় আহত আল আমিনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয় তার পরিবার।।