• বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

শান্তিরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের ১৯৩ দেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : / ১৯ Time View
Update : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : পৃথিবীতে চিরস্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ কমাতে হবে, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য বিশ্বের ১৯৩টি দেশ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার মতোই শান্তির জন্য জাতিসংঘে একটি ভিশন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা মনে করি, যেখানেই যত অশান্তি তার মূল কারণ হচ্ছে হিংসা বিদ্বেষ। আর শান্তিরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের প্রস্তাব দিয়েছেন যে মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ কমাতে হবে। আর এ হিংসা বিদ্বেষ যদি কমানো যায় তাহলে পৃথিবীতে আমরা চিরস্থায়ী একটি শান্তি স্থাপন করতে পারব। আর তার এই বক্তব্য বিশ্বের ১৯৩টি দেশ গ্রহণ করেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ সার্কিট উন্নয়ন’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার।
সেমিনারে ড. মোমেন আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বিশ্বাস করতেন শান্তি দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ রোল মেডেল। শান্তিরক্ষায় বর্তমানে বাংলাদেশ এক নম্বর অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, হিংসা বিদ্বেষ দূর করার এ মানসিকতা তৈরি করা শুধু সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য পরিবার পাশাপাশি সমাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও ভূমিকা থাকতে হবে। এ হিংসা বিদ্বেষ দূর করতে পারলে ধর্মের এবং বর্ণের যে মারামারি বা হিংসা তা দূর হয়ে যাবে। আমাদের সামাজিক জীবনে এখনও অনেক সংকীর্ণতা রয়ে গেছে। এসব কিছুকে আমাদের দূর করতে হবে।
ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশের সাংবিধানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সব ধর্ম-বর্ণ মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকায় রাষ্ট্রের সঙ্গে মানবিক একটা সম্পর্ক গঠিত হয়। আর প্রধানমন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষতাকে সবসময় জোর দিয়েছেন। তিনি সর্বদাই বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আর এর মাধ্যমেই সব ধর্মের মানুষ দেশে শান্তিতে বসবাস করছে। আর তাদের ধর্ম বা কালচার তারা প্র্যাকটিস করছে। বাংলাদেশ সরকার সব ধর্মকে সমানভাবে ও মর্যাদায় দেখে এবং কোনো ধর্মের প্রতি বৈষম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখে না।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় ৫২০ মিলিয়ন বিভিন্ন ভাষাভাষি লোক বৌদ্ধ ধর্ম পালন করেন। যা পুরো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সাত ভাগ। বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বৌদ্ধ ধর্মের লোক বসবাস করে। দেশে বৌদ্ধ ধর্মের লোকের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও তাদের সংস্কৃতি বাংলাদেশকে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একজন নামকরা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী অতীশ দীপঙ্কর রায়। যিনি একটি সময় তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে কাজ করেছেন। তিব্বতের সবাই তাকে খুব সম্মান করতেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মাহাথেরিও। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সেমিনারটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category