সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশের দেশ মালিতে দায়িত্ব পালনরত ১ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম।
তিনি জানান, গত ৩০ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে রেজুলেশন ২৬৯০ পাস হয়। এ রেজুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল এবং মালি মিশন থেকে সব শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে সব শান্তিরক্ষীকে মালি থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এ বিষয়ে মালি সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
মোহাম্মাদ রফিকুল আলম জানান, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধের মূল কারণ হলো মালি সরকারের অসম্মতি।
গত জুনে মালির অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। স্বাগতিক দেশের সম্মতি ব্যতীত শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। একই মন্তব্য করেন নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি।
২০১৩ সালে এ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই মালিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মিলে প্রায় ১ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মালি মিশনে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষী মালি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন। গৃহীত রেজুলেশন অনুযায়ী, মালি মিশনে দায়িত্বরত সব শান্তিরক্ষীকে প্রত্যাহার করা হবে। জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীন ভবিষ্যতে যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সব সময় আছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মাদ রফিকুল আলম।
সৌদি আরবে দুই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ ছিল অনির্ধারিত:
সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সাক্ষাৎ অনির্ধারিত ছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র।
তিনি জানান, সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হজ পালন করেন। পবিত্র হজের বিভিন্ন অনুষঙ্গ পালনকালে তার সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির দেখা হয়। এ সময় তারা কুশল বিনিময় ও সৌজন্যমূলক আলাপচারিতা করেন।