• বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দাকোপে মসল্লার বাজারে আগুন, ক্রেতারা বিপাকে

জি এম জাকির হোসেন : / ২৬ Time View
Update : সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : খুলনার দাকোপে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসল্লার বাজারে আগুন, ক্রেতারা বিপাকে। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষের হাতের নাগালের বাহিরে আদা ৪০০শত টাকা কেজি, জিরা ৯০০শত টাকা কেজি, দারচিনি ৪২০শতবিশ টাকা কেজি ,এলাচ ১৪শত টাকা কেজি,সাদাফল ২০০০টাকা কেজি,কালোফল১০০০ টাকা কেজি , গোলমরিচ ১০০০টাকা কেজি , কালা জিরা ৪০০শত কেজি ,ডেলের মসল্লা জাহিরী৪০০ শত টাকা কেজি ,ঝালের গুরা৫০০শত টাকা কেজি ,হলুদ ২০০শত টাকা কেজি সয়াবিন তৈল১৯০ টাকা কেজি পিয়াজ ৮০ টাকা কেজি, কাচা ঝাল ২০০ টাকা কেজি৷ পাশাপাশি মাছ মাংস দুধ ডিমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যেন বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। অনেকে হাটে এসে মসল্লা বাজার না করেই খালি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। গতকাল শনিবার দাকোপের ঐতিহ্যবাহী বাজুয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মসল্লা বাজারে মসল্লার দাম শুনতেই নাভিশ্বাস নিচ্ছে ক্রেতারা। অন্যদিকে রুইমাছ ২৪০টাকা কেজি, কাতলামাছ ২৫০টাকা কেজি, সিলভার মাছ ২০০টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৬০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতির জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।
হাটে বাজার করতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ সোহাগ হাওলাদার জানান, তিনি বাজার করতে এসে মসল্লার দাম শুনে হতাশ হয়ে ফেরত গিয়েছেন৷ তিনি বলেন আমি সারাদিনে কাজ করে পারিশ্রমিক পায় মাত্র ৩ শত থেকে ৪ শত পঞ্চাশ টাকা, তিনি বলেন৷ আমরা গরীব মানুষ এতো টাকা দিয়ে কিভাবে মসল্লা কিনে খাব চরম হতাশা হয়ে পড়েন তিনি।
হাটে বাজার করতে আসা মাসুদ আলী নামের আরেকজন ব্যক্তি বলেন, মাছের বাজারে গিয়ে হাঁপ কেজি ওজনের একটি মাছ কিনেছি ১৩০ টাকা দিয়ে কিন্তু মসলার দোকানে গিয়ে এযেন আমার মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়েছে কি ভাবে মসল্লা কিনে এতো দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
যেভাবে দিন দিন মসল্লার দাম বাড়ছে তাতে মানুষের দশদায় হয়ে পড়েছে।
পোদ্দারগঞ্জ বাজার দোকানদার শ্রী অনিল সাহা বলেন,পাইকারি বাজারে মসল্লার দাম বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে মাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তিনি। এতে আমাদের কোন হাত নাই যেমন কিনতে হচ্ছে তেমন বিক্রয় করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category