সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : খুলনার দাকোপের বানিশান্তা বাজারে ডাঃ বিধান মিস্ত্রি বলেন সরকারি জায়গা দখল করে পাকাঘর তৈরি করছি না বরং আমার রেকর্ডভুক্ত জায়গায় ঘর করছি। তিনি আরো বলেন বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সরকারি জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করছি না কাগজ পত্র দেখিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির পর দোকান ঘর নির্মাণ করছি। সব কিছু না জেনে না বুঝে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক না। আমি যখন ডাক্তারি করি তখন বানিশান্তা বাজার ও গ্রামের মানুষের সেবা ও উপকার করেই থাকি। তাই ঘরটা পাকা না হলে রোগীরাই দুর্ভোগ পোয়াবে। তাই তাদের সেবার জন্যই আমার এই ঘর।
বিধান মিস্ত্রির নিকট ঘরের বিষয় জানতে চাইলে, তিনি বলেন নায়েব সাহেব মাঝে এখানে এসেছিলেন। তিনি সব দেখে শুনে গেছেন। তাছাড়া, নায়েবের সাথে আমরা, কথা বলে যোগাযোগ করে এ ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয় ফিরোজ আলী খা ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সব কিছু জানেন। ওনি ঘরের বিষয় আমার চেয়ে সব কিছু আপনাকে বেশি বুঝিয়ে বলতে পারবেন। এছাড়া এই বাজারে এর আগে অনেকে পাকা ঘর তৈরি করেছে তাহলে আমি করলে দোষ কি। বিধান মিস্ত্রির এমন ভাষ্য অনুযায়ী জানতে চাওয়া হলো, মেম্বার ফিরোজ আলী খার নিকট ঘরের বিষয় জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, ঘরটি আমার, বিধান আমার লোক। আমি সকলের সাথে কথা বলে ঘরের কাজ শুরু করেছি। এখানে কোন ঝামেলা নাই। তিনি আরো বলেন দেঃ ৯৮/২০২২ বাদী অজয় কুমার মন্ডল বনাম বিবাদী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক খুলনা দিং আদেশ নং ০৫ তারিখ ১/০৯/২০২২ খ্রিঃ আপত্তি ও নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত শুনানি ১৫১ ধারার বিধান মতে ১-৫ নং মৌজা ২৫ খতিয়ান নং বি, আর, এস ২১০৭ খতিয়ানে বাদীগনের নামে রেকর্ড ভুক্ত মোট ৪.৩৫ একর সম্পত্তির মধ্যে ডাঃ বিধান মিস্ত্রির পাকাঘর নির্মাণ কাজ চলমান। ডাঃ বিধান মিস্ত্রি আরো বলেন নালিশী সম্পত্তি এসএ ১৭১ খতিয়ান অন্তর ভূঃ পশুর নদী ভাঙ্গন কবলিত হওয়ায় এলাকাবাসী ঐ স্থান বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ টি বসত দোকান ঘর নির্মান করে। যে স্থানে বর্তমান বানিশান্তা বাজার হিসাবে পরিচিত। উল্লেখ থাকে যে ভোগ দখলীয় ৯.৬৫ একর জমির মধ্যে হতে কিছু সম্পত্তি হস্তান্তর হয়েছে বটে। বর্তমান বি,আর,এস,২১০৭ খতিয়ানে যথারিতি রেকর্ড প্রস্তত পূর্বক প্রকাশ পেয়েছে। তাই এখনকার কিছু নেশাখোর, চাঁদাবাজিরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলো একতরফা শুনানি শুনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়েছিলেন। পরে বাদীপক্ষকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় রিকুইজিশন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় তাং ২২/০৯/২২। পরে আমরা কাগজ পত্র দাখিল করে আমাদের পক্ষে রায় আনা হয়। তিনি আরো বলেন এলাকার কিছু কুচক্রী মহল আমার ক্ষতি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করে বেরাচ্ছে তাই তাদের সকল অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।