সবুজবাংলা২৪ডটকম, উত্তরা (ঢাকা) : রাজধানীর দক্ষিণখান পিবি মর্ডাণ গলিতে কিশোর গ্যাংয়ে ছুরিকাঘাতে এক যুবক গুরুত্বর আহতের তথ্য মিলেছে। গত ২১ জুন বুধবার আনুমানিক রাত ১০ মেহেদী (১৫) ও কয়েকজন কিশোর পিবি মর্ডান স্কুল গলি আসে। এর পরে সেখানে ফারুকের চা দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাঙ্গচুর করে এবং দোকানে বসে থাকা এক যুবকে (১৮) মেহেদী ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এই মেহেদি নামের ছেলেটি ব্যাগে ছুরির পাশাপাশি চাপাটিও দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শিরা। যুবকটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চা দোকানে থাকা লোকজন যুবকটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উত্তরা মহিলা মেডিকেলে নিয়ে যায় এবং পরে এই যুবকের অবস্থা বেগিত দেখলে তাকে ঢাকা মেডেকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানায় উত্তরা মহিলা মেডিকেলে সুত্রে। এদিক এলাকাবাসী ঘাতক মেহেদিকে আটক করতে পারলেও এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আটক করতে পারেনি। পরে এলাকার স্থানীয়রা ৯৯৯ কল করে পুলিশ খবর দিলে, দ:খান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে মেহেদীকে আটক করে। কিশোর মেহেদীকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালাতে সক্ষম হয়।মেহেদী কাছে যুককে ছুরি মারা কারন জানতে চাইলেও ঘাতক মেহেদী সাংবাদিকদের কাছে প্রথমাবস্থায় কারন জানায় না চুপ থাকে, পরে মেহেদী এক জবান বন্দীতে জানায়,মেহেদী যাকে ছুরি মেরেছে তাকে মেহেদী চেনে না এবং রাতে মেহেদী বন্ধ তৌফিক তাকে ডেকে এনে এই অপরিচিত ব্যক্তকে মারধর করে এবং তৌফিকের কাছ থেকে মেহেদী ছুরি নিয়ে এই অপরিচিত যুবকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। মেহেদী দ:খান কষাইবাড়ি মায়ের দোয়া হোটেলে চাকরি করে,সে আরো জানায় তৌফিক এলাকায় স্থানীয় তাদের দ:খানে বাড়ি আছে আর মেহেদী গরীবের ছেলে। তথ্যে জানা যায়, এই কিশোর মেহেদীর গ্রামের বাড়ি ভোলা। এ বিষয়ে এলাকার স্থানীয়রা জানান,এরা কিশোর গ্যাং,আর এদের উৎপাতে এলাকায় বসবাস করাই দায় হয়ে গেছে,স্থানীরা আরো জানায়,এরা কিশোর গ্যাং আর আজকের এ ঘটনা যাতে ধামাচাপা না পড়ে সেদিকেও আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেকে আবার বলেন,এই এলাকায় কিশোর গ্যাং দিন দিন বেড়েই চলেছে তাই রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ। এরা শুধু কিশোর গ্যাংই নয় এরা মাদক বিক্রি,বহন ও সেবনও করে,তাই এদের মত সামাজে অপরাধীদে কঠিন শাস্তি হতে হবে,সেই সাথে এদের অন্তরালে কারাই বা আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা তাদের কেউ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি আশা করে বর্তমান সমাজ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেহেদী ছুরিমারা কারন জানা জায়নি। এ প্রতিবেদ লেখা পর্যন্ত দ:খান থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা যায়।তবে আহত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে দ:খান থানার এসআই পুলিশ জিল্লু সাহেব জানান,এরা কিশোর গ্যাং,আর এদের কোনো ছাড় নেই,এদের একজকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে বাকি গুলোকেও আটকের চেষ্টা চলছে।