সবুজবাংলা২৪ডটকম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) : পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী গ্রামের টেপিদহ বিলের রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের এডিপি এর বরাদ্দ হতে ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে কিশোরগাড়ী গ্রামের টেপিদহ বিলের রাস্তায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কালর্ভাট নির্মাণ করা হয়। সময়ের ব্যবধানে কালভার্টটির নিচের দুই পাশের ভিত্তি পিলার ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। ভাঙা কালভার্টটি ভেঙে ওই স্থানে দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
কিশোরগাড়ী গ্রামের দুলা মিয়া, মাসুদ রানা, রেজাউল মিয়া,জানান, এই ব্রীজ যেকোন মুহুর্তে ভেঙে যেতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটির উপর দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। তবে এখানে ছোট একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আর আমাদের দুর্ভোগ থাকবে না। আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি দ্রুত যেন ছোট হলেও একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।
গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্র কাওসার মিয়া, নবম শ্রেণির ছাত্রী সিনতিয়া, দশম শ্রেণির ছাত্রী আশামনি জানান, এখানে কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের ছোট বড় সকলের সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন থেকে ভাঙা রয়েছে কেউ এটা নিয়ে ভাবেন না। তবে এখানে একটি কালভার্ট হোক আর ব্রীজ হোক জরুরিভাবে দরকার।
কিশোরগাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান, ওই গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে আমি নির্বাচিত হওয়ার পরই এডিপির বরাদ্দ হতে ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছিলাম। তবে যেহেতু কালভার্টটি এখন ঝুকিঁপূর্ণ তাই ওখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য সালাম, পারুল বেগম জানান,মানুষের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত ওখানে একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। যাতে ওই এলাকার মানুষের সমস্যা দূর হয়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, খোঁজ খবর নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।