• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:১৫ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

দাকোপে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগের কাজ পরিদর্শন করেন পঞ্চানন বিশ্বাস

জি এম জাকির হোসেন : / ৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ : খুলনার দাকোপে ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে ১২টির অধীক পয়েন্টে চলছে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঁঙ্গন প্রতিরোধের কাজ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ব্লক ছাড়া স্থায়ী ভাঁঙ্গন রোধ সম্ভব নয় বলে সচেতন সমাজের দাবী। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের খামখেয়ালীপনা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের চাটুকারিতার মধ্যে দিয়ে কাজের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন দেখা দিয়েছ জনমনে। গত মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, সুতারখালী ও কামারখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও একদল সাংবাদিক পয়েন্টগুলো পরিদর্শনে গেলে নানা অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে। জিও ব্যাগে ২৮০কেজি বালি দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা দাবী তোলেন। পরে সবার উপস্থিতিতে মাপ করে ১৮৫কেজি এবং ২৫০ কেজি বালি পাওয়া গেছে। এছাড়া কাঁদাবালির নমুনা পাওয়া গেছে। বস্তা গণণায়ও রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। এ সময় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিপ্লব নামের একজন সাব কন্টাকটরের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন। উপস্থিত জনসাধারন কাজের নানা অসংগতি তুলে ধরেন। তারা জানায়,৩২নং পোল্ডারটি দারুন ঝুঁকিপূর্ণ। ১২ টি পয়েন্ট এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, এসব পয়েন্ট ভেঁঙ্গে এলাকা প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি চরম বিপদাপন্ন পোল্ডারটি ঘিরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর রযেছে দায়সারা তদারকি। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণের পর পরই দেখা দিয়েছে ভাঁঙ্গন।রাস্তার পাঁশঘেসে মাটি কাটা,পূনরায় সেসব জায়গায় নতুর করে ঘরবাঁধা নিয়মে পরিনত হয়েছে। মাটির সাথে বালি মিশানোর ফলে বৃষ্টির সাথে সাথে এসব রাস্তার যত্রতত্র বৃষ্টির পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ধ্বসে পড়তেও দেখা গেছে। স্থানীয়দের দাবী ছিল ব্লক দিয়ে ভাঁঙ্গন রোধ করা। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে কাজের দূর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট প্রমান মেলে। এদিকে ৩২ নং পোল্ডারে এখনো গাছ লাগানো বাঁকী রয়েছে অনেকটা।কবে হবে জানা নেই কারোও। ১২টি
পয়েন্টে কতগুলো জিও ব্যাগ পড়বে তা বলতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টদের সামনে এসব অনিযমের চিত্র ধরা পড়ে।কালাবগীর একটি পয়েন্ট নতুন রাস্তা ছিদ্র করে লবণ পানি তোলার দৃশ্য দেখা গেছে।এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী গোপাল দত্তকে বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকাবাসী। এসব জায়গা গুলো দেখার জন্য কমিটি করে দেয়া হয়। কিন্তু এর পরও ২৪ তারিখ জিও ব্যাগ ওজন করে ২৫০কেজি বালু পাওয়া যায় বলে তদারকির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান।সরকারি পদক্ষেপের সব ভেঁস্তে যেতে বসেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিদিসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিতে। এ ব্যাপারে খুলনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন বালির বস্তায় গণনায় অনিয়োম বস্তায় ওজনে বালির পরিমান কম দাওয়া এবং কাদাযুক্ত বালি ভর্তি করার মতো অনিয়ম আমাদের চোখে ধরা পড়ায় সাব ঠিকাদারের কাজ বাতিল করে সিডুউল মোতাবেক কাজ শুরু করেছি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে মোট ৪০ কোটি টাকার কাজ চলছে। এব্যাপারে জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন ঔ কাজে আর অনিয়ম হবে না এবং নিয়মিত কাজ তদারকি করবেন বলে পাউবোর কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category