সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ : খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি মৌজার ৪ নং ওয়ার্ডের নলবুনিয়া খাল অবৈধ দখল কারিদের উচ্ছেদ করে পূর্ণ খননের দাবি করে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ও দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গন পিটিশন দাখিল করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা জানান গনপিটিশন করায় আন্দোলন কারীদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে খাল দখলকারীরা। কেননা ২২ শে মে সোমবার বেলা ১১ টায় দাকোপ থানার এস, আই গৌতম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরোজমিনে এসে এলাকা ঘুরে এর সত্যতা যাচাই করেন এবং ২৩ মে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় থানায় বসাবসি হবে বলে এলাকার সকলকে যেতে বলে। এলাকাবাসী তদন্তকারী অফিসারকে খালের যে সকল জায়গা দখল করে রেখেছে তা ঘুরিয়ে দেখান। এসময় এলাকাবাসী বলেন এলাকার মুষ্টিমেক কিছু লোক নিজেদের স্বার্থের জন্য খালের জায়গা ঘিরে রেখে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। তারা অবৈধ দখল আর বাধ দিয়ে ঘর বাড়ি, পুকুর, রাস্তা গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এর ফলে কোটি কোটি টাকার তরমুজ চাষসহ ফসলহানির শিকার হচ্ছে ঐ এলাকার সাধারণ কৃষক সহ সলফো আয়ের সাধারণ মানুষ। প্রভাবশালী এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে এবার ফুসে উঠেছে স্থানীয় মানুষ। জানা যায় গত ৩/৪/২০২৩ তারিখ নলবুনিয়া খাল পূর্ণ খনন ও দখল দারদের উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের নিকট এবং ০৭-০৩-২০২৩ তারিখ খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গণ পিটিশন দাখিল করেছেন এলাকার কৃষক সহ সাধারণ জনগন। তাদের দাবী চুনকুড়ি নলবুনিয়া খালের উপর নির্ভরশীল হয়ে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করতো এলাকার সাধারণ মানুষ। কিন্ত বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৩ নং পোল্ডারের বেড়িবাধ উন্নয়নের সময় পুনরায় গেটটি নির্মাণ না হওয়ায়। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালটি জমি ভুক্ত হয়েছে বলে দখল করে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন স্থাপণা। চুনকুড়ি নলবুনিয়া খালের অস্তিত্ব এখন শুধু মানচিত্রে দখল বেদখলে পুকুরে পরিণত হয়েছে। প্রথমে দেখলে মনে হবে একটি করে পুকুর। কিন্তু না! এটি দাকোপ উপজেলার বাজুয়া চুনকুড়ি মৌজার নলবুনিয়া খাল। এই নদী ও খাল চলে গেছে ভূমিদস্যুদের দখলে। নদীর বুকে দখলদাররা নেটের ঘেরা দিয়ে করছে ঘর বাড়ি, রাস্তা, পুকুর, চাষাবাদ বিভিন্ন ফসলি গাছ-গাছালি। আবার কোথাও কোথাও সম্পূর্ণ ভরাট করে অস্তিত্ব বিলীন করে দেওয়া হয়েছে খালের বর্তমানে শুধু মানচিত্রেই ঠাঁই হয়েছে এ নদী ও খালটির। প্রথমে দেখলে মনে হবে প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি করে পুকুর। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি নদী ও খাল রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও বাস্তবে এ নদী ও খাল রক্ষায় কোন গুরুত্বারোপ করেনি সংশ্লিটরা। স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকরা বলেন যে নদীকে কেন্দ্র করে বিক্ষাত তরমুজ চাষ সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে ওঠে ওই এলাকায়, সেই নদীই এখন মৃত। খালে পানি না থাকায় তরমুজ চাষীরা পরেছে বিপাকে।
পানির অভাবে এবছর মধ্যে পথে তরমুজ চাষীরা ক্ষেত ছেড়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নলবুনিয়া খালটি ও পার্শ্ববর্তী খাল পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে খাল দখলকারীরা তাদের বিপক্ষে অবস্থান কারী কৃষক এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলেছে বলে দাবি জানিয়েছেন বাদী শেখ মারুফুল হক। তিনি বলেন আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে যাতে আমরা থেমে যাই। বিভিন্ন দপ্তর থেকে অভিযোগ পত্র তুলে নিয়ে আসি তা না হলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে। আজিজুল শেখ, আমজেদ মির্জা, ইকবাল খাঁ, সাইদুল গাজী, সাইদ মল্লিক, মিজানুর মির্জা তারা নাকি বিশাল ক্ষমতাশালী, দখলবাজ তাদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। তাই আমাকে ও এপথ পরিহার করতে হবে তাই বলে হুমকি দেয়। তাই এদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। খাল দখল ও হুমকির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মিজানুর মির্জা বলেন চায়না প্রজেক্টের কাজের সময় গেট না হওয়ায় খাল এমনিই বুঝে গেছে আর আমরা আমাদের জায়গায় বসবাস করছি ম্যাপে যদি খাল থাকে তাহলে ছেড়ে দেব আমাদের নামে বিভিন্ন দপ্তরে কেন অভিযোগ দিচ্ছে সেটা বলা হয়েছে তাকে আমি কেন হুমকি দেব।অন্যদিকে নদী ও খাল রক্ষার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মানস কুমার রায় বলেন সরকারি খাল হিসেবে থাকলেও বর্তমানে খালের জায়গা বিভিন্ন ব্যক্তি দখল করে রেখেছে। এলাকাবাসী জমির মালিক, কৃষকের যথাযথ সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সরকারের কাছে দাবি নলবুনিয়া খালটি পূর্ণ খনন করে কৃষি ও কৃষিকাজের ব্যবহারের উপযোগী করা হোক। দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন বিষয়টি নিয়ে বাদী, বিবাদী উভয়ের কথা শুনা হয়েছে খালের ম্যাপ দেখে এর নিষ্পত্তি করা হবে কৃষি জমির ক্ষতি করে কিছুতেই খাল বন্ধ করে জায়গা দখল করা যাবে না। যদি কেউ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।