সবুজবাংলা২৪ডটকম, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ বালিয়াকান্দি গ্রামের একটি রাস্তায় মাটি ভরাট কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের যোগসাজশে রাস্তা সংলগ্ন কারো জমি থেকে গভীর করে বেশি এবং কারো জমি থেকে মাটি কম কাটা নিয়ে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার সকালে বালিয়াকান্দি গ্রামের মো: হানিফ নামে এক ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মহাজন বাড়ী থেকে শাহ আলমের দোকান পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় মাটি ভরাট কাজে স্থানীয় শাহাদাৎ হোসেন সোহাগ, জনি, মো.মাসুদ, বাবু এবং ভেকু চালকের যোগসাজশে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে রাস্তা সংলগ্ন তার জমি থেকে গভীর করে বেশি মাটি নিয়ে রাস্তার ভরাট করা হয়েছে অথচ বিপরিত পাশে জমি থেকে মাটি কম কাটা হয়েছে। এবং ফল গাছ সহ অন্যান্য গাছপালা কেটে ফেলে, তার ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতি করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। ভুক্তভোগী মো. হানিফ আরো জানান, তার পরিবারের দেখাশোনা করতো তার জামাতা মো. আলমগীর। যিনি দাগনভূঁঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিন মাস আগে জামাতা মো. আলমগীরের মৃত্যুর পর থেকে এলাকার দুষ্কৃতিকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। এবং বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে সরেজমিনে গেলে, নারগিস আক্তার নামে আরেক ভুক্তভোগীও জানান, রাস্তায় মাটি ভরাট জন্য দুই পাশের জমি থেকে মাটি নেয়ার কথা থাকলেও পাশের জমি থেকে মাটি না নিয়ে তার জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি নেয়, এতে তার জমিটিও চাষাবাদের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। তিনি এধরনের অনিয়মের বিচার চান। স্থানীয়রা জানান, মুল রাস্তার দৈর্ঘ প্রসস্থ ও উচ্চতা মেনে মাটি ভরাট হয়নি। কোন কোন জায়গায় রাস্তার পাশ কেটে ঐ মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হয়েছে।
এবিষয়ে বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বালিয়াকান্দির মেম্বার আনোয়ার হোসেন সুমন মুঠোফোনে জানান, যে জমি থেকে বেশী মাটি কাটা হয়েছে, সে জমিটি এক লোক দেখিয়ে দিছেন। তবে তার নাম বলেননি। মাটি ভরাটে বরাদ্ধকৃত রাস্তার দৈর্ঘ প্রসস্থ ও উচ্চতা পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সুনির্দিষ্ট কিছুই বলেননি। যদিও কাজটি মেম্বার সুমনের তদারকিতেই হচ্ছে।
বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজল বলেন, রাস্তাটি টিআর কাবিটা বরাদ্ধকৃত, যা উপজেলা থেকে অর্ডার করা হয়েছে। এ কাজ স্থানীয় মেম্বার তদারকি করছে। রাস্তায় মাটি ভরাট হয়েছে জেনেছি, তবে আমি এখনো যাইনি।
এবিষয়ে জানতে সেনবাগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।