• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি

বায়েজীদ / ৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, গাইবান্ধা :গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১ মে) গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পালের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দের দাখিলকৃত অভিযোগ ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি-গৃহহীন মানুষদের ঘর দেওয়ার নামে অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টাকা গ্রহণ করেছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলটির বিভাগীয় সম্পাদক ও সমন্বয়কারীর পরামর্শে ওই সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধানের নিরিখে উদ্ভূত পরিস্থিতির নিরসন ও সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে সাংগঠনিক স্বার্থে বাংলাদেশ কৃষক লীগের গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাসকে সংগঠনের স্ব স্ব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানসহ তাদের সকল সাংগঠনিক ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল জানান, অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাস দলীয়ভাবে ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের মাধ্যমে সোনারায় ইউনিয়নের অসহায় ও দিনমজুর ১৩টি পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি লাইলী বেগমের মাধ্যমে শিশু ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে অর্থ গ্রহণ করে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল বিশ্বাস।
ভুক্তভোগীরা বারবার যোগাযোগ করে টাকা না পেয়ে গত শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরশহরে কাঁঠালতলীর মোড়ে বকুল বিশ্বাসকে আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনতার হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category