সবুজবাংলা২৪ডটকম, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে মো. হাফিজ মাহমুদুল হাসান নামে একজন ইমামকে মারধর করেছে প্রাইম হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক চেয়ারম্যান ডা: মাহাবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী শামিমা জাহান সুইটি। ইমামকে মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজটি সোমবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর আগে, গত রোববার বিকালে শহরের মাইজদী হাসপাতাল সড়কে একটি ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, শামিমা জাহান সুইটি ফার্মেসিতে ঢুকে দাঁড়িয়ে প্রথমে ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা বলছেন। এর একপর্যায়ে সুইটি ধীরে ধীরে ইমামের কাছে যান এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই মসজিদের ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানকে মারধর শুরু করেন। মারধর করতে করতে তাকে ফার্মেসির ভেতরে নিয়ে যান সুইটি।
জানা যায়, রবিবার সকালে স্থানীয় হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম জহুর নামাজের জন্য মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাইম হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার গায়ে ধুলো পড়ে এমন অভিযোগে ইমাম হাফিজকে গালমন্দ এবং একপর্যায়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বিকালে পুনরায় মাহাবুবুর রহমানের স্ত্রী প্রাইম হসপিটালের চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি হাসপাতালের সামনের ইসলাম ফার্মেসিতে গিয়ে ওই ইমামকে আবারও মারধর করেন।
এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করতে আসলে, থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত ডা: মাহাবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী শামিমা জাহান সুইটি এসে, মারধরে শিকার অভিযোগকারী ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানের কাছে ক্ষমা চায়। মাহামুদুল হাসানও তাদের ক্ষমা করে দেয়। ভুক্তভোগী ইমাম এ ঘটনায় মামলা করেনি। তবে, সুধারাম মডেল থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি ভুক্ত করেন, যাহার নং-৩৩।