• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

দাকোপে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি / ১০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ : দাকোপ প্রেসক্লাবে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দাকোপ প্রেসক্লাব সেমিনার কক্ষে লিখিত ভাবে সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন জি, এম আজিজুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে নলিয়ানের মৃতঃ মোঃ শামছুল হক গাজী পুত্র জি, এম আজিজুল হক ত্রা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের বিবাহ তালাক রেজিষ্টার বা কাজী না থাকায় আমার ছোট ভাই চালনা পৌরসভার একাংশের কাজী ইমদাদুল হক জেলা রেজিষ্টার কর্তৃক ১২০ দিনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলে আমি তার সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকি। তারই মধ্যে আমি ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব স্থায়ী করতে মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের পক্ষ হতে ডিও লেটার প্রাপ্ত হই। ইউ,পি চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। তবে ইমদাদুল এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকার কারনে তার কাছে আমি ডিও লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখি। কিন্তু ইমদাদুল আমাকে কাজী হওয়াতে সহযোগীতা করার জন্য এই শর্ত দেয় যে, সুতারখালী ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রির মোট লভ্যাংশের অর্ধেক তাকে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমান সহ কল রেকর্ড রয়েছে।
আমি তাতে রাজি না হওয়ায় ইমদাদুল অর্থের লোভের কারণে আমার ডিও লেটর সহ যাবতীয় কাগজপত্র আটকে রেখেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত। যাতে আমি সুতারখালী ইউয়িনের স্থায়ী কাজী হতে না পারি। ইমদাদুল আমাকে স্থায়ী কাজী না বানিয়ে অর্থের লোভের কারণে সুতারখালী ইউনিয়নের মহসিন, রফিকুল এবং শাহীন এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদেরকে দিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিষ্টি করাচ্ছে। আমার কাছ থেকেও ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখে অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল। যার লিখিত প্রমান রয়েছে। বিষয়গুলো বিভিন্ন জায়াগায় আমি জানালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা,ফেসবুক ষ্ট্যাটাস সহ বিভিন্ন ভাবে কুৎসা রটনা এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন কাজী এমদাদুল হক মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ করায় যার প্রমাণ তার কাছে থাকা ১৫, ২৩ নং বই তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। তাছাড়া এমদাদুল শুন্য হাতে চালনায় এসে কয়েক বছর কাজীগিরি করে কোটি টাকার বাড়ি, অফিস, ব্যাংক-ব্যালেন্স কিভাবে তৈরী করল সেটা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তের দাবী জানান।
আমার বিরুদ্ধে খাতা চুরির মামলাও করেছে। কাজী ইমদাদুল সুতারখালী ইউনিয়নে তিন জনকে ফেজবুকে ও ঘোষনা দিয়ে আইন বর্হিভূত নিয়োগ দিয়েছে। তার নিয়োগকৃত ব্যাক্তির মাধ্যমে গতকাল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তকারী কাজী এমদাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে তার ভাইয়ের সকল আনিতো অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন অভিযোগ গুলো সর্ম্পূন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category