সবুজবাংলা২৪ডটকম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজ-হলুদের সমারোহ। রোদ আর হিমেল বাতাসে উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাঠে ৫০ শতাংশ ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকেরা মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পাড়বে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন পলাশবাড়ীর কৃষকরা।
কে কার আগে ফসল কাটতে পারে এই চিন্তা নিয়ে দিন পারি দিচ্ছে তারা তার। পলাশবাড়ী উপজেলা ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মাঠে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ব্রি-২৮,২৯,৫৮,৮১,৮৪,,৮৮,৮৯,৯০,৯২ ও ১০০ জাতের ধান,তাছাড়া ও হাইব্রিড তেজ গোল্ড,ময়না,হীরা,এসিআই ধান চাষ কৃষকেরা এ বছর বেশি আবাদ করছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু।
তবে ব্রি ২৮ ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় মাঠপর্যায়ের কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন এই ধান না করার জন্য।
তিনি বলেন যেহেতু এই ধানের রোগ, বীজ বাহী রোগ এই ধানের চারা রোপণ করলে ব্লাস্ট রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই বেশি।
উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের মাঠে অধিক অংশ ধান পাকতে শুরু করেছে। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি ৮৯ ধান রোপণ করেছি ইনশাআল্লাহ ফলন ভালো হয়েছে আর কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পাড়বো।
একই গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন,আমাদের ধানও ভালো হয়েছে , আশা করছি ফলনও ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ধানে কোন রোগবালাই নেই বল্লেই চলে।তবে ব্রি ২৮ ধানে মাঝেমধ্যে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে উপজেলার সকল ইউনিয়নে ধান পাকতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১২ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে