সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : বোরো ধান চাষের মৌসুম শেষে দেরি করে চাষ, সার সংকট এবং রোজা শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছর খুলনার চাষিরা লোকসান গুনেছিলেন। তাই এবার যেন লোকসান গুনতে না হয় সেজন্য আগে ভাগেই নেমে পড়েছিলেন কৃষকরা। রমজান মাসে বিক্রি করাই তাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আধুনিক প্রদ্ধতিতে খুলনার দাকোপ উপজেলার সকল বিলে চাষ কারকিত শেষ করে জমি তৈরির পাশাপাশি সকল কার্যক্রম শেষ করেছে কৃষকরা। কৃষকরা জিও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজের চাষ করে উৎপাদিত তরমুজ বাজারে বিক্রি করে প্রতি বছর ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এবারও গতবারের মত তরমুজ ক্ষেতের অবস্থা দেখে ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এ কৃষকরা তরমুজ খেতে অজানা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে ত্রিপস জাতীয় শোষক পোকা ও মাকড়সা জাতীয় পোকার উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে তরমুজ গাছের কচিপাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের কীটনাশক ও মাকড়সা নাশক ঔষধ স্প্রের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খেতে যে গাছ আক্রান্ত হয়েছে তা তুলে মাটিতে পুতে ফেলার ও পরমর্শ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বৈজ্ঞানী সহকারি স্বপন রায় বলেন মেঘলা এবং আকাশ কুয়াশাছন্ন জনীত কারনে ডাউনিমিলডিউ ছাত্রাক জর্নিত রোগের ব্যাপক আক্রমন লক্ষ করা যায় সেটাকে কৃষকরা ভাইরাস জনীত রোগ বলে আখ্যায়িত করেছে। যা প্রকৃত অর্থে ছত্রাক জনিত রোগ। ঠিক সমসাময়িক সময়ে তাপ মাত্রা বৃদ্ধির কারণে অতি দ্রুত গতিতে ত্রিপস পোকার আক্রমন লক্ষ্য করা যায় যা কৃষকদের কে উৎকন্ঠিত করে তুলেছে। এতে কৃষকরা দিকবিদিক হশে হারিয়ে একের পর এক ছত্রাক নাশক, কিটনাশক, মাকড় নাশক পিজিআর একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করছেন। যেটি উপকারের চেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন। এই সংক্রমন ছত্রাক নাশক ত্রিপস সংক্রমন রোগে ৯০ শতাংশ ক্ষেতে বিস্তার করেছে। তরমুজ অচিরেই বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল কৃষকদের। কিন্তু এ অবস্থায় অজানা রোগের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। মোট অবাদি ২০ হাজার ৮৮০ হেক্টর লবন অধ্যুষিত হওয়ায় শতভাগ জমি আমন চাষের আওতায় আসে। দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে তরমুজ চাষ ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে যায়। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল চলতি মৌসুমে কমে গিয়ে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ চাষি পুঁজি ফিরে পাবেন না বলে ধারণা করছে।