সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : তুর্কিয়ের ভোট যুদ্ধের দৌড় এখনও ৪০ দিনেরও কম দূরে। বিরোধী দলের সমর্থক ভোটাররা কেমাল কলিকদারুগ্লু (বিরুধী দলের বিখ্যাত প্রার্থী) এর ভুমিধস বিজয়ের ব্যাপারে পূর্বধারনা করা শুরু করে দিয়েছে। প্রতিধ্বনির কামরায় বিরোধী দলীয় সমর্থিত সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা সমীক্ষার ফলাফলে এটাই প্রমানিত হয়।
এই বিষয়টি অসম্ভব যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যে, কোন সামাজিক মাধ্যমের ভোট গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত; যেহেতু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে যে, ফোন কলের মাধ্যমে ভোট বা মতামত নেয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
বিরোধী দলগুলো যুক্তি খাড়া করার জন্য এ ধরনের সার্ভে রিপোর্ট ব্যাবহার করে দাবি করে যে, তাদের প্রচারণা তাদের ভিত্তি গড়ে তোলার উদ্যেগের ক্ষেত্রে, ইতোমধ্যে যথেষ্ট গতিবেগ পেয়েছে।
ন্যাশন এলাইয়েন্সের (বিরোধী দল) মধ্যে খুব বেশি আবেগ তাড়িত হওয়ার কারণ যেহেতু পিপলস এলাইয়েন্স অত্যাধিক সতর্কতা থেকে অনেক দুরে অবস্থান করেছে। প্রেসিডেন্ট রজব তায়েব এরদুগান এবং তার মন্ত্রীপরিষদ সময়িক ভাবে ব্যাস্ত সময় পার করছে ভুমিকম্প অধ্যুসিত এলাকায় নতুন গৃহনির্মাণ এবং মেরামতের কাজে। এ সাপ্তাহের শুরুর থেকে প্রার্থীর তালিকা এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সহ সভাপতি মুস্তাফা সেন পার্টির অভ্যান্তরীন সভায় নির্বাচানের ব্যাপারে বলেন পিপলস এলাইয়েন্স প্রার্থী এরদুগান রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচানে ৫৩% ভোট পাবেন। এই বক্তব্য ছিল পিপলস এলাইয়েন্সের ভোটারের এরদুগানের বিজয়ের ক্ষেত্রে আত্মাবিশ্বাসের প্রতিফলন। তারা বিশ্বাস করে যে, উনি হলেন সেই তুর্কী প্রেসিডেন্ট যে সর্বশেষ রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এবং শুধুমাত্র তিনিই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন।
সিএইচপি (বিরুধী দলের বিখ্যাত প্রার্থী) সমর্থক মিডিয়া।
পিপলস এলাইয়েন্স পার্টি (সিএইচপি) পন্থী মিডিয়া কেমাল কলিকদারুগ্লু কে উৎসাহ দিচ্ছে যে, মাদারল্যান্ড পার্টির চেয়ারম্যান মুহাররেম ইঞ্চের এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিএইচপি কুর্দি) সাথে আলোচনার উদ্যেগের দৃশ্যপটে তাদেরকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হাওয়ার ব্যাপারে যুক্তি দিচ্ছে ; যেহেতু প্রথম রাউন্ডে তিনি বিজয়ী হতে চাচ্ছে, তা এক প্রকার অসম্ভব। একইভাবে পিপলস এলাইয়েন্স ফ্রি কস পার্টি এবং নিউ ওয়েলফেয়ার পার্টির সাথেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভাগে আনার জন্য।
যদিও মাদারল্যান্ড পার্টর চেয়ারম্যান মুহাররেম ইঞ্চ এবং অন্যান্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। নির্বাচনী দৌড় দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত গড়াবে। পার্লামেন্ট নির্বাচনও ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রেসিডেন্ট প্রথম বারের মতো ২ সাপ্তাহ পরে নির্বাচিত হবেন। সে হিসাবে কোন ঐতিহাসিক নজীর দ্বারা পরযবেক্ষকরা পূর্বাবাস দিতে পারে না যে, ভোটাররা রজব তায়েব এরদুগান এবং কেমাল কলিকদারুগ্লু মধ্যে কাকে বাছাই করবে; যেহেতু পূর্বেই সকল পার্লামেন্টারি সিট বরাদ্দ হয়ে গেছে। যদি ন্যাশন এলাইয়েন্সের (জোট) অথবা পিপলস এলাইয়েন্স (জোট) এর মধ্যে যে দল পার্লামেন্টারি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তাহলে সে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে তুর্কি জনগণ নির্বাচিত করবে এবং কেন ? সেক্ষেত্রে আমরা খুঁজে বের করব যে, প্রথম বার দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচনের প্রয়োজন হবে।
উভয় এলাইয়েন্স (জোট) তাদের প্রার্থীকে প্রথম রাউন্ডে জয়ী করার ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। এটিই হল কেন তারা বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সাথে আলোচনা চালিয়ে বর্তমান অন্য কোন অধিভুক্তি (প্রার্থী) না রাখার কারন।
একটি কঠিন সমস্যা
উভয় এলাইয়েন্স (জোট) একে অপরের সাথে জয়ের ব্যাপারে যুদ্ধে লিপ্ত। ন্যাশন এলাইয়েন্সের (জোট) জনমতসম্বন্ধে ভোট-গ্রহণাদিত্র দক্ষ ব্যক্তিদের (ঢ়ড়ষষংঃবৎং) প্রচার কাজে ব্যাবহার করে, তাহলে ভয়ঙ্কর সমস্যার সৃষ্টি করবে। যদি ন্যাশন এলাইয়েন্সের(জোট) প্রার্থী কেমাল কলিকদারুগ্লু এর অতি উৎসাহী সমর্থকরা বিশ্বাসের সর্বশেষ পর্যায়ে যেয়ে ধারণা করছে যে, তারা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেছে। এতে করি তারা ১৪ মে রাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারে ।
এ কে পার্টির এবং রজব তায়েব এরদুগানের নিস্তব্ধতা অবশ্যই তাদের বোকা বানাইনি। আমরা স্বতন্ত্রভাবে দেখানোর চেষ্টা করছি সম্ভবত সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা, যারা সমীক্ষার অংশ প্রহন করেনি কিন্তু তারা অপ্রতিরোধ্যভাবে ভোটের দিন এরদুগানের পক্ষে তাদের ভোট প্রদান করবে ।
কিছু কিছু জনমতসম্বন্ধে ভোট-গ্রহণাদিত্র দক্ষ ব্যক্তি (ঢ়ড়ষষংঃবৎং) যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের সামান্য কয়েক মাস আগে অনুমান করেছিল সিএইচপি এবং তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জয়ী হবে। ঠিক একই কাজটি তারা এখন করছে। দিন শেষে তাদের কার্যক্রম মনস্তাত্বিক ভাবে পিপলস এলাইয়েন্সের (সিএইচপি) ভোটাররা সন্দিহান হয়ে যাবে। কিন্তু এরদুগানের এ কে পার্টির কিছুই হবে না।
উভয় এলাইয়েন্স (জোট) কে নির্বাচনে জয় লাভ করার ব্যাপারে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে; আমরা এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পারি। যাই হোক সম্ভবত যারাই দেড় মাসের মধ্যে যত বেশি ভোট সংগ্রহ করবে, তারাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হবে।