• সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

খুলনার কয়রায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ টিন শেড ঘরে পাঠদান, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

জি এম জাকির হোসেন / ৮ Time View
Update : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : খুলনা জেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুন্দরবন এর কোল ঘেষা সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতা আজও কাটেনি। গত ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সচিবালয়, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্নি এনজিও এর মাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে এলাকার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে আসছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক তাহার সহকর্মীদের সমন্বয়ে স্থানীয় কোমল মতিদের আলোর স্বন্ধানে এগিয়ে নিতে তারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে একটি টিন শেড ঘরে চলছে তাহাদের পাঠদান। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগ কমছে না। কঠিন গরমে পাঠদানে অংশ গ্রহণ করা খুবই কঠিন। বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রায় চারশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০০৯ সালের ২৫শে মে রোজ সোমবার দিবাগত রাত্রে আইলা ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি অকেজ হয়ে পড়ে। স্থানীয় সরকার শিক্ষা অধিদপ্তর জাতীয় সংসদ সদস্য দপ্তরে প্রধান শিক্ষক বহুবার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুফল পায়নি। তাহলে কি জাতি কখনো শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে না। বাংলাদেশ সরকার এর শিক্ষামন্ত্রালয় থেকে ঘোষনা আসে অবহেলিত কয়রা উপজেলার আইলা দূর্গত এলাকার কোমল মতিরা ঊচ্চশিক্ষায় শিক্ষীত হয়ে মানুষের মত মানুষ হতে চায়। এর পরেও কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা। বসার স্থান যদি না থাকে ছাত্র-ছাত্রিরা কিভাবে ক্লাস করবে। এলাকাবাসী সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশার কথাগুলো স্বরনে রেখে অতি দ্রুত সাইক্লোন সেন্টার কাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়কে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক অতিদ্রুত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানান। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক জামিরুল ইসলাম ইং ২০২১ সালে খুলনার কয়রা পাইকগাছা উপজেলার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এর একান্ত প্রচেষ্টায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট ভবনের ব্যাবস্থা করা হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ৫১ টি পিলার স্থাপন করার পর হতে ঠিকাদারের আর কোন হদিস মিলছে না। তাহার মোবাইল ফোন নম্বরে (০১৭১১-৯৬৫৮১১) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারি বিধিমালা অনুসারে এ ঠিকাদার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category