সবুজবাংলা২৪ডটকম, নওগাঁ : নওগাঁয় অভিনব কায়দায় পরিবহনের সময় ৪৯কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় এক নারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। সোমবার ভোরে নওগাঁ শহরের বরুনকান্দি বাইপাস মোড়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আটককৃতরা আন্তঃজেলা মাদক কারবারির সদস্য। তাদের হবিগঞ্জ জেলা থেকে নওগাঁর ওপর দিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের আড্ডা যাওয়ার কথা ছিল। একটি মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার কেটে তার ভিতরে ও মাইক্রোবাসের বডির ভেতরে অভিনব কায়দায় গাঁজাগুলো রাখা ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে শহরের বরুনকান্দি বাইপাস মোড়ে অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসটি থামিয়ে তল্লাশি করে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে গাঁজা বহনে কাজ করানো হতো। দেখে বোঝার উপার নাই তারা পরিবারের সদস্য না। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নওগাঁ সদর উপজেলার আতিথা গ্রামে স্ত্রীকে কলা কেটে হত্যার দায়ে মোঃ মিজানুর রহমান (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
একইসাথে টাকা অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেন। সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার কদমবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহেল বাকী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার কদমবাড়ী গ্রামে নিহত মোশারফ হোসেন মাঠে গরু চড়াইতেছিল। এসময় সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজানুর রহমান জমিতে কাজ করার কথা বলে শরিফুল নামের এক জনের বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে গিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোদাল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে ওই গ্রামের জরিনা নামে নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্যদেরসহ তার স্বজনদের ঘটনাটি জানালে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে তার মাথায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে।
এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে কোদালসহ মিজানুরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে জামাই মাসুদ রানা বাদী হয়ে ওই দিনই নিয়ামতপুর থানার একটি হত্য মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।