সবুজবাংলা২৪ডটকম, জয়পুরহাট : ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের গৌরবের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার বেলা ১১ টায় অত্র কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি এ্যাড. মোমিন আহমেদ চৌধুরী (জিপি) এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মোমিন মন্ডল, প্রভাষক সুমন কুমার সাহাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।
আলোচনা সভা শেষে মধ্যাহ্নভোজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, কন্যা তুমি পণ্য নয়, কারো করুণার পাত্র নয়। আমি নিজেও একজন কন্যা সন্তানের পিতা। কোন পেশাকেই আমি ছোট করে দেখি না। যে মানুষটি কেবল একজন গৃহবধূ, আবার তিনি মা, তিনি পুত্রবধূ, তিনি শাশুড়ি, তিনি ভাবি অনেকগুলো চরিত্র একজন গৃহবধূ মধ্যে থাকে। অনেকগুলো বিষয় একজন গৃহবধূকে সমন্বয় করতে হয়।
একজন গৃহবধূকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কথা শুনতে হয়। একটি পরিবারে মেয়েরা সব সময় অবহেলিত হয়। বাড়িতে ভালো কিছু রান্না হলে সেটি আমরা সবাই ছেলে সন্তানের পাতে দেয়। মাছের মাথা ছেলের পাতে, মুরগির রান ছেলের পাতে। পরিবারের সবচেয়ে খারাপ খাবারটি পরে মায়ের পাতে। আমি মনে করি পরিবারের সবচেয়ে ভালো খাবারটি কন্যা সন্তানের পাতে দেওয়া উচিত। কারন একজন মেয়ে বিয়ের পরে শশুর বাড়িতে গিয়ে ওই পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সে আর কখনো ভালো খাবার পায় না। আপনি আপনার কন্যাকে যতোই ধনী পরিবারে যতোই শিক্ষিত পরিবারে বিয়ে দেন না কেন ওই পরিবারের সবচেয়ে খারাপ খাবারটি আপনার মেয়ের পাতেই পরবে। তাই পরিবারে মেয়েকে ভালো খাবার দেওয়া উচিত, বিয়ের পরে সে আর কখনো সুযোগ পাবে না।
তিনি উপস্থিত ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা যদি বিনা বেতনে কাজের বুয়া না হতে চাও তাহলে তোমাদের অবশ্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আমি দোয়া করি তোমরা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আমাকে অতিক্রম করবে।
এ সময় অত্র কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে রজত জয়ন্তী উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বর্তমান সমাজে ইভটিজিং ও মাদকাসক্তির কুপ্রভাব
বর্তমান প্রজন্মের তরুনদের ধ্বংসের মূল কারণ হলো অভিবাবকদের নজরদারীর অভব, ইভটিজিং, ও মাদক আসক্তি। বর্তমান সময়ে শৈশবকালের ছেলেদের দেখা যায় সকাল হলে স্কুল-কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উওপ্ত করতে আর সন্ধ্যা ঘোর হলে মাদকের আড্ডায়। এমনই কিছু অভিযোগ উঠে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায়। কিছু উঠতি বয়সী ছেলেদের ঘুম থেকে উঠে যেন তাদের রুটিন স্কুল-কলেজের সামনে এবং রাস্তায় মেয়েদের বিরক্ত করা যাকে বলা হয় ইভটিজিং করা। এসব বখাটে কিশোরদের কারণে মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছে।স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে অনেকেরই।ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।নষ্ট হচ্ছে পড়ালেখার ইচ্ছা আকাংঙ্কা। লেখা পড়া থেকে ঝরে পড়ছে হাজারো শিক্ষার্থী। এসব বখাটে কিশোরদের বিরুদ্ধে কোন সমাজ ব্যবস্থা না থাকাই দিন দিন এদের ইভটিজিং করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। নেই কোন সমাজ ব্যবস্থা। দেখা মিলছে না কোন আইনি ব্যবস্থার এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় দেখা যাবে দেশের নারী শিক্ষার্থী ভারসাম্যহীন হয়ে হুমকির মুখে দাড়িয়েছে।আবার এইসব ছেলেদের দেখা যায় সন্ধ্যাবেলায় মাদকের আড্ডায়। সন্ধ্যা হলেই তারা দলবল বেধে এক সঙ্গে মাদক গ্রহণ করছে অভিভাবকদের নেই কোন সচেতনতা নেই কোন শাষন। ছেলেরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে কখন ফিরছে ঘরে এসবের কোন তদারকী নেই। অবভিবাবকদের যার ফলে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও মাদকের আড্ডা।