সবুজবাংলা২৪ডটকম, গাজীপুর : ডিবি পুলিশকে ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় এক যুবককে মাদক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবকের নাম শাহরিয়ার ফারুক গৌতম (৩৪)। তিনি নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বসুরা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের ছেলে। গাজীপুর মহানগরের গাছা প্রেসক্লাবে রোববার বিকালে পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার ফারুকের বড় ভাই শরিফ ওমর টুটুল বলেন, একটি সাজানো মামলায় ফারুকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সে জামিনের আশায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় শাহরিয়ার ফারুক বাড়ির পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। এসময় হত্যাকান্ডসহ একাধিক মাদক মামলার আসামী গাজীপুর ডিবি পুলিশের সোর্স শামীম ওরফে কানা শামীম ও ফাহিম ফারুককে জাপটে ধরে। সোর্স শামীম ফারুককে হাতকড়া লাগিয়ে ডিবি পুলিশকে ডাক দেয়। তৎক্ষনাত ডিবি পুলিশের এসআই রাজিব, এসআই ইব্রাহিম আকন্দ, এসআই বিল্লাল হোসেন ফারুককে ধরে নিয়ে তার ঘরে তল্লাশি চালায়। এসময় অবৈধ কোনো কিছু না পেয়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে ১০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে মাদক মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। তাকে বাড়ি থেকে ধরে নেয়ার সময় কারণ জানতে চাইলে এসআই রাজীব বলেন, ‘আমরা কোনো কিছু রিকভারি করতে না পারলেও তার বডি রিকভারি করেছি।’ এসময় সোহাগ নামে একজন কে অঞ্জাত কারনে ছেড়ে দওয়া।পরে ডিবি কার্যালয় থেকে ফারুক নামে আরেক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসআই রাজীব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় বক্তব্য দেয়া যাচ্ছে না। তবে ফারুকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান তিনি।