• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

খাদ্য উৎপাদনে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ৪৭ Time View
Update : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সবুজবাংলা২৪ডটকম, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে সবাইকে আহ্বান। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি যখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল তখন করোনা সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে স্থবির করে দিয়েছিল। সেখান থেকে উত্তোরণের মধ্যেই শুরু হলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় আমাদেরকেও মিতব্যয়ী হতে হবে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যার যেটুকু জমি আছে, সবটাই কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ গড়ার লক্ষ্যে এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে খাদ্যমন্দা দেখা দিয়েছে তার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তার জন্য একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রয়োজন ছিল, আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমাদের কোস্ট গার্ড বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা বিশাল সুমদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সমুদ্রসীমা রক্ষা, মৎস আহরণসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সকল নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কোস্ট গার্ড বাহিনী।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদকসহ মোট চারটি ক্যাটাগরিতে ৪০ জন কোস্ট গার্ড সদস্যকে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করে। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধভাবে সরকার গ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে সম্মুক ধারণা ছিল কি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফা সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। এক দিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন সকলের নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্বপালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালছি। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ভূমিহীন মানুষদের আমরা বিনামূল্যে ২ কাঠা জমি ও ঘর তৈরি করে জীবন জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছি। নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের জীবন যেন উন্নত সমৃদ্ধশালী হয়, প্রত্যেকের সন্তান লেখাপড়া শিখবে, আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি শিখবে, তারা নিজেরা উপার্জন করবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। আমাদের জনগোষ্ঠীকে স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category