জি এম জাকির হোসেন :
সবুজবাংলা২৪ডটকম, দাকোপ (খুলনা) : খুলনার দাকোপের কামিনিবাসিয়া গ্রামে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে চার জন হাসপাতালে ভর্তি এর মধ্যে তন্ময় বাছাড়ের অবস্থা ভয়াবহ। খুলনা হাসপাতালে তন্ময় বাছাড় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এলাকাবাসী জানায় আবারও জমিজমা সংক্রান্ত বিরুদ্ধের জের ধরে আমন মৌসুমে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মারামারি। তারা বলেন দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর এক পর্যয়ে তুমুল সংঘর্ষ হয়ে চার জন হাসপাতালে।
২৭ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনিবাসিয়া গ্রামে বিতর্কিত জমিতে দু’পক্ষ ধান কাটার জন্য তিলডাঙ্গা গ্রামের অর্ধেন্দু বাছাড় ও কামিনিবাসিয়া গ্রামের প্রীতিশ হালদার উভয় তাদের লোক জন নিয়ে জমিতে অবস্থান করে। উভয় পক্ষের মধ্যে দু’ঘন্টা ধরে তুমুল তর্কবিতর্ক হয়। এবং কথা-কাটাকাটির কোন এক পর্যায়ে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আর মারামারি শুরু হয়। মারামারি সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে চার জন মারাত্মক জখম হয়। তৎক্ষনিক ভাবে এলাকাবাসির সহযোগিতায় দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী অবস্থায় চার জনকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ১) অর্ধেন্দু বাছাড় পিং মৃত অজ্ঞত, ২)তন্ময় বাছাড়, পিং অর্ধেন্দু বাছাড় উভয় সাং তিলডাঙ্গা, দাকোপ খুলনা। এর ভিতর তন্ময় বাছাড়ের অবস্থা আশংকা জনক। তার মাথায় পাঁচটি শেলাই সহ প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। অপর দিকে ১) ক্ষিতিশ হালদার, মৃত সতীষ হালদার, ২)সুলতা হালদার, স্বামী প্রীতিশ হালদার উভয় সাং কামিনিবাসিয়া, দাকোপ খুলনা। ক্ষীতিশ হালদারের মাথায় মারাত্মক আঘাত ও জখম হয়। তারও অবস্থা আশংকা জনক বলে চিকিৎসক জানান। দু’পক্ষ থেকে দাকোপ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে মামলার জন্য।
দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন ধান কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে থানায় অভিযোগ দিয়েছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এদিকে তন্ময় বাছাড়, গুরুতর আহত হয়ে দাকোপ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হযেছিলো সেখানে অবস্থার অবনতির প্রেক্ষিতে কর্মরত ডাক্তার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় সেখানে তন্ময় বাছাড় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে তার পরিবার জানান। বিষয়টা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও বিতর্কের ঝড় উঠেছে।